Somashis Gupta, Editor Epic Words shares this humorous tale of Chattobabu’s (চট্টবাবু) misadventures as he tackles his quirky sensitivity to movements and attempts to save the community’s Pujo theme with an idea on global warming.
চট্টবাবু চট করে চটেন না, কিন্তু সেদিন চিৎপটাং হয়ে পড়ে গিয়ে, চটাং করে চটে গিয়ে বল্লেন “তুই ঘোড়া না গাধা”? ঘটনা টা তাহলে খুলেই বলি।
চট্টবাবুর এক নতুন ব্যামো হয়েছে, ওনার কিছু নড়লেই সুড়সুড়ি লাগে। ব্যামোটা এতটাই গম্ভীর যে দূর থেকে আরশোলা তার শুড় নাড়ালে চট্টবাবু ও নড়েচড়ে বসেন। এইতো সেদিন যাত্রা দেখতে গিয়ে এক ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটলো, মৃগয়া পালা চলছিল অভিনেতা মৃগয়ায় যাওয়ার আগে অতি নাটকীয় ভাবে আঙ্গুল কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে বল্লেন ‘আলিঙ্গন কর রানী’। সেই আঙ্গুল কাঁপানো দেখে চট্টবাবু সমান পাল্লা দিয়ে কাঁপতে শুরু করলেন। এমনই কাঁপলেন যে পাশে বসা মহিলার গায়ে উলটে পড়লেন। কোনমতে গণধোলাই থেকে বেঁচে বাড়ী ফিরলেন।
আবার আসি মূল ঘটনায়, সেদিন সকালে হটাৎ calling bell বাজলো। চট্টবাবু তখন বেল খেতে খেতে global warming এর একটা প্রবন্ধ পড়ছিলেন। “এত সকালে কে এলোরে বাবা” বলে দরজা খুল্লেন চট্টবাবু। খুলে দেখেন পাড়ার ছেলেরা দাঁড়িয়ে আছে।
“কিরে সকাল সকাল, সকলে মিলে? কি ব্যাপার?” জিজ্ঞেস করলেন চট্টবাবু।
“চট্টদা বড্ড বিপদ ঘটেছে, পুজোর theme কিছুতেই মাথায় আসছেনা, তাই তোমার কাছে আশা নিয়ে আসা, যদি কিছু idea দাও।” বললো গোবলা।
“দাও বল্লেই তো দেওয়া যায় না, এটা দা, কাঠারি বা ছুরি না যে বল্লেই দিয়ে দেবো। পুজর theme বলে কথা, ওতে দরকার গভীর ভাবনা । যাক এলি যখন, একটু ভেবে নি কিছুক্ষণ? তার পর নাহয় বলব তখন?” এই বলে ভাবা শুরু করলেন চট্টবাবু। ভাবতে ভাবতে বেলা গড়িয়ে দুপুর হ’ল, তাই পুকুরে গিয়ে টুঁপুর করে ডুব দিয়ে চান সারলেন চট্টবাবু। ঠিক তক্ষুনি তাঁর মাথায় এলো theme এর scheme, “eureka eureka” বলে চট্টবাবু দিলেন ছুট। গিন্নি কে দেখে বল্লেন “গিন্নি পেয়ে গেছি, পেয়ে গেছি, Idea”।
“কি পেয়ে গেছো গো? হিরে, মানিক না সোনা?” হাঁকলেন চট্টবাবুর স্ত্রী।
“আরে পুজর theme, এবার হবে global warming”
“ওসব theme ফিম বুঝিনা বাপু, যাও গিয়ে লাগাও cream, না হলে ফেটে যাবে যে skin।”
“আঃ গিন্নি ও সব হবে, আবার চারটি ভাত দাও তো, খেয়ে বলে আসি ক্লাবে।”
ক্লাবে গিয়ে চট্টবাবু দেখেন ওখানে জোর আলোচনা বসেছে theme নিয়ে। খুব গম্ভীর স্বরে বল্লেন “আচ্ছা আমি ভাবছিলাম এবার যদি আমরা globel warming নিয়ে পুজো করি, কেমন হয়?”
“Global warming? কিন্তু…ওরকম framing কি করা যাবে?” জিজ্ঞেস করল্ল রমেন।
“যাবে যাবে, ওই সব আমি ভেবে নিয়াছি কবে” বল্লেন চট্টবাবু “আমরা দেখাবো গাড়ি, বাস, এরোপ্লেইন, জাহাজ, ও গুলোর শুধু পৃথিবী ধ্বংস করাই কাজ, তাই ওগুলো কে বর্জন করতে হবে।” বলে গর্জন করলেন চট্টবাবু।
“কিন্তু এই সব ছাড়া মানুষ চলবে কি করে?” কেষ্ট জিগ্যেস করলো।
“কেন যখন ওগুলো ছিল না তখন যেরম চলতো ঠিক তেমন করে।” বল্লেন চট্টবাবু।
“ও জুরি গাড়ি? ফিটন?” বললো কেষ্ট
“ঠিক, সঠিক, বিলক্ষণ।”
“আচ্ছা জীবন্ত ঘোড়া আনলে কেমন হয়?” পেছন থেকে শিবু বলে ওঠে।
“দারুন দারুন, এ idea তো মন্দ নয়” সকলে বলে উঠে।
“কিন্তু ঘোড়া চালাবে কে, চালাতে কি কেউ জানে?”
“কেউই তো জানে না, ধুর ওটার আছে কোনও মানে?”
“আরে আমি তো আছি চিন্তা কিসের, ছোটবেলার আভ্যাস মিটিয়ে দেবো তদের আস।”
“তুমি ছোট বেলা ঘোড়া চালাতে।“
“তা না হলে বলি কি? চালাতাম বটে।“
“তা হলে সেটাই থাক, Global warming এর সাথে পুজোর ঢাক”
প্রস্তুতি শুরু হল, কাঠের মিস্ত্রি এলো , রঙের মিস্ত্রি এলো, কিন্তু সমস্যা টা হল ঘোড়া নিয়ে। হাতিবাগানের পাঁচকড়ি হাতিমটা ঘোড়া দিতে নারাজ, বল্লেন “তোদের ঘোড়ার কাজ, দিতে পারবনা, যত্ত সব মস্করা”
সবাই মিলে তাই ঘোড়ার খোঁজে ঘোরা ঘুরি শুরু করলো এইদিকে ঐদিকে, ডান দিকে বাম দিকে, কোথাও আর ঘোড়া পাওয়া যায় না। শেষমেশ চণ্ডীবাবু চণ্ডী তলা থেকে ফন্দি করে নিয়ে এলেন পেল্লাই সাইজ এর একটা ঘোড়া। সাথে সাথে চট্টবাবুর ডাক পড়লো। চট্টবাবু তখন চাকুম চুকুম করে চানাচুর খাচ্ছিলেন। কেষ্ট এসে বললো “চট্টদা চাটুরজে মশাই ডেকে পাঠিয়েছেন, চণ্ডী বাবু ঘোড়া নিয়ে এসেছেন।”
চট্টবাবু যখন ক্লাবে পৌঁছলেন তখন ঘোড়া বাবাজি ঘুরপাক খাচ্ছিল, ঘড়ি দেখে বল্লেন “সময় আছে, ভালই হোল একটু practice করে নেয়া যাবে” বলে ঘোড়ার লাগাম টা হাতে নিলেন। কিন্তু যেই ঘোড়ায় উঠেতে যাবেন ঘোড়া চিঁহিই বলে গা ঝাঁকাল । ব্যাস চট্টবাবুর সুড়সুড়ি শুরু, এক লাফে অন্যদিকে পৌঁছে গেলেন চট্টবাবু আর চিৎপটাং হয়ে পড়ে গিয়ে, চটাং করে চটে গিয়ে বল্লেন “তুই ঘোড়া না গাধা”।
সেই বছর পুজোয় theme হল ঠিকই global warming কিন্তু সাথে একটা signboard ও ছিল যাতে লেখা ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।’