কোচবিহারের একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এই কবিতা ‘ নারী ‘ । লিখেছেন প্রতিমা দে, পরিচর্যাকারী , এপিক পাবলিক স্কুল।
নারী
সমাজের বুকে তুমি নারী এক সামান্য
কিন্তু ,তোমার কর্মযজ্ঞ অসামান্য l
এই সমাজ তথা কোচবিহারের বুকে,
নিয়েছো যে দায়ভার,
এতদিনে পৌঁছে গেছে তা
সমাজের বহু দ্বারদ্বার।
সমাজ নামের ফুল বাগানে
ফোটাচ্ছো কত কুড়ি
তুমি তো সেই,
ফুল বাগানের শিক্ষার এক অনন্যা স্বর্ণপরী!
তোমারই হাত ধরে জেগে উঠবে কত ফুল- পরী।
কখনো মা হয়ে স্নেহ কর,
কখনো বা বন্ধু হয়ে হাত ধর
কখনো বা ভালোবেসে কোলে তোলো
কখনো শিক্ষিকা হয়ে শিক্ষার দুয়ার খোলো l
কি অপূর্ব তোমার মহিমা
যার নেই কোন তুলনা!
কি মায়াবী তোমার মুখ
কি সুন্দর উজ্জ্বল তোমার হাসি!
কে বলবে তোমায় দেখে,
তুমি এক সামান্যা নারী ।
কখনো দৃঢ় কখনো কোমল
এভাবেই দিচ্ছ যে শিক্ষা
এটাই ওদের কাছে প্রথম পাওয়া দীক্ষা।
ছোট ছোট কলিতে যে ফোটাচ্ছো প্রাণ
এটা কি সমাজে কম বড় দান!
সূর্যের মতো করছো সব ফুলেদের প্রস্ফুটিত,
এভাবেই জ্বলবে সমাজে তোমার স্ফুলিঙ্গ ।
কে বলে নারী তুমি এক নগণ্য
এভাবেই হবে তোমার নারী- জীবন ধন্য ।
নারী কখনো দাসী নয় বুঝলাম তোমায় দেখে
তাই তো,অপলক দৃষ্টিতে তোমায় দেখি
আমি মুগ্ধ চোখে ।
কত গরিবের পাশে দাঁড়ায়েছো তুমি ,
অনাথেরে করছো শিক্ষা দান
আরও কত দিন দুঃখীর করেছ কর্মসংস্থান।
একদিন বিশ্বের দরবারে উঠবে তোমার নাম
তিলে তিলে গড়ছো তুমি তারই প্রমাণ।
মানবী তো নও,তুমি তো দেবী
তাই তো আমার মনে তোমার শ্রদ্ধার ছবি ।
বিশ্বের দরবারে তুমিও হবে এক উজ্জ্বল মুখ
শুনেও আমরা পাব কত মহা সুখ ।
কোচবিহারবাসী শুনে বলবে আহা আহা
তুমি তো আর কেউ নও-
কোচবিহারের মেয়ে,
শ্রীমতী ড: সংযুক্তা সাহা।